ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​সরকার ভারতের চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দিয়েছে: জামায়াত

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১০-০১-২০২৫ ০৭:০৮:১৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১০-০১-২০২৫ ০৭:০৮:১৫ অপরাহ্ন
​সরকার ভারতের চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দিয়েছে: জামায়াত ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এখন দেশ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে নতুন চক্রান্তও শুরু হয়েছে। বিপ্লবের পরে প্রতি বিপ্লব, জুডিশিয়াল ক্যু, আনসার কাণ্ড, এই দাবি, ওই দাবিতে অবরোধ, ধর্মঘট, সচিবালয়ে আগুন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা। তারা বোঝাতে চায় আওয়ামী লীগ না আসলে হিন্দু ভাইয়েরা শান্তিতে থাকতে পারবে না। এই পরিস্থিতি তারা তৈরি করতে চায়। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।’

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘গাজীপুরের অনেকগুলো মিল কারখানার মালিকরা আমাদের বলেছেন, তারা ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে পারছে না। এখন তো আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টরা মাঠে নেই। তাদের ৩০০ এমপি-মন্ত্রী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে এখন আপনাদের কিসের ভয়? দয়া করে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনারসহ সবার কাছে আমি অনুরোধ করবো, যে দলেরই হোক চাঁদাবাজ-মস্তান, যারা অর্থনীতির চাকাকে থামিয়ে দিতে চায় তাদেরকে গ্রেফতার করুন। তাদেরকে যদি আপনারা ধরতে না পারেন, তাহলে জনগণ বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে আপনারাও ফ্যাসিবাদের দোসরদের খাতির করছেন।’

তিনি বলেন, ‘যারা বিপ্লব করলাম, রক্ত দিলাম- তাদের মাঝেই মতপার্থক্য শুরু হয়েছে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যাই। সংস্কার না করে যারা নির্বাচন চায়, তারা সংবিধানের দোহাই দেন। এসব কিছু সামনে এনে একটা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। আমি তাদের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, ড. ইউনূস আসছিল কোন আইনে? কোন সংবিধানে? কোন বিধিতে ছিল? উপদেষ্টা পরিষদ হলো, হাসিনা চলে গেলো, শপথ করলেন কোন আইনে?’

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘সংবিধান এবং আইন কী? সংবিধান হচ্ছে জন আকাঙ্ক্ষা। কোটি কোটি মানুষ যা চাইবে সেটার লিখিত রূপ হচ্ছে সংবিধান। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যখন কেয়ারটেকার করেছিলাম, তখন সংবিধানে কেয়ারটেকার ছিল না। জনগণের দাবিতে কেয়ারটেকার হয়েছে। নির্বাচন হয়েছে, তারপর আইন। সংবিধান আইনের কথা বলতে গেলে- এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও বেআইনি। উপদেষ্টাও বেআইনি।’

গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- বিশেষ অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সামিউল হক ফরুকী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড. মোহাম্মদ খলিলুর রহমান মাদানী।


বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ